শ্রেষ্টত্বের বিচারে ভারত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ
__________________________________
শ্রেষ্টত্বের বিচারে ভারত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ এই কথাটার মধ্যে লুকিয়ে আছে ভারতীয়দের মানষীকতা ও ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনা ।যা গোটা বিশ্বের কাছে একটি শিক্ষনীয় বিষয়।ভারতের ইতিহাসের পাতা যদি উল্টানো যায় ভারত প্রথম থেকেই হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত ছিল । যদিও বৌদ্ধ ও জৈন দের কেউ ভারতের হিন্দু বলে পরিচিত ছিল ।ভারতের ইতিহাসে মুসলিম জনবসতির প্রভাব মুসলিম শাসকদের ভারতের মাটিতে শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রভাবিত হয় সেটা আমরা সবাই জানি।কিন্তু ভারতের মুসলিম শাসক রা আসার প্রভাবে ভারতের অর্থনীতিতে তার প্রভাব যেমন পরে ছিল তেমনি ভারতের ভারতের হিন্দুত্বের উপরেও পরেছিল ।যার ফলে দেখাযায় ভারতে ধর্ম পরিবর্তন।যা বল পূর্বক ভাবে ও ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে হয়ে ছিল ।এই মুসলিম শাসন কালে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনা সম্পূর্ণ ভাবে ধংস হয়।যদিও মুঘল শাসকরা নিজেদের শাসন কায়েম রাখা ও শক্তিশালী হিন্দু রাজাদের রাজ্য দখল করার জন্য কিছু হিন্দু রাজাদের তাদের রাজ সভায় স্থান দিয়েছিল । কিছু হিন্দু কবি ও সেই সময় যারা বুদ্ধিজীবী ছিলেন তাদের স্থান দেয় । কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার যে ধারনা তার থেকে সরে এসে ছিল ।আমরা সবাই জানি তখন কার শাসকেরা নিজের কোষাগার ভর্তি করার জন্য হিন্দু রাজাদের সম্পত্তি ও হিন্দু জমিদার দের সম্পত্তি দখল করতো তাদের বল পূর্বক ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করতো ।এই এক ই ছবি দেখা যায় ইংরেজ আমলে সেখানেও হিন্দু ও মুসলমান দের শুধু ব্যাবহার করা হয়েছিল নিজ স্বার্থে।কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনা সম্পূর্ণ প্রতিষ্টা র কাজ শুরু করে স্বাধীন ভারতের সংবিধান রুপকার রা।কিন্তু সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার রুপ দেওয়া আর তাকে বাস্তবায়ন করার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে সেটা ভারতের প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রী জহরলাল নেহরু ও প্রথম গৃহ মন্ত্রী সরদার বল্লভ ভাই পাটেল বুঝতে পেরেছিলেন ।তাই প্রথম থেকে ভারতে রুপকার হিসাবে তারা ভারত গঠন করার সাথে সাথে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে গেছেন।তাই ভারত সরকারের কোন পলিশিতে হিন্দু রাষ্ট্র ও হিন্দুত্বের ধারনার কোন সংজ্ঞা পাওয়া যায়না ।তবুও কংগ্রেসের শাসন কালে ভারতের মাটিতে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধংসের মতন ঘটনা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মাটিতে যে দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রভাব ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনার সম্পুর্ন রুপে ধ্বংস হয়ে যায়।কিন্তু ভারতের মাটিতে এমন ও কিছু ঘটনা আছে যা ভারতেই সম্ভব বলে মনে হয় ।যেখানে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের যেভাবে হত্যা ও তাদের মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজ্য উত্তর প্রদেশে এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে সেটা ভারতের শ্রেষ্ঠতার পরিচয় দেয় ।ভারতের উত্তর প্রদেশের কালপি শহরে এক মসজিদ আছে যে মসজিদটা হিন্দু মন্দিরে জমিতে প্রতিষ্ঠীত আর হিন্দু মন্দির টাও একি জমিতে প্রতিষ্ঠীত।জানা যায় ওই অঞ্চলে মুসলমান জনবসতি গড়ে ওঠার পর একটি মসজিদ গঠনের দরকার পরে কিন্তু জমির অভাবে সেখানে মসজিদ গঠন সম্ভব হচ্ছিল না ।তখন মন্দির কতৃপক্ষের তরফ থেকে জমিদান করে মসজিদ গঠন করা হয় ।এই ধরনের নজির ভারতে শুধু একটি বা দুটি রাজ্যে নেই বহু রাজ্যে রয়েছে। মহারাষ্ট্রে গনপতি পূজাতে অনেক জায়গা আছে যেখানে হিন্দুও মুসলিম রা এক সাথে পূজা করে থাকে যা একমাত্র ভারতেই সম্ভব।বাংলার দূর্গা পূজা শুধুমাত্র হিন্দুদের পুজা নয় এটা সকল বাঙ্গালীর পূজা যেখানে হিন্দুও মুসলিম সবাই আছে। এই সকল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেছে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনাকে সঠিক ভাবে প্রয়োগ ও তা পালন করার মাধ্যমে।এই ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনা মাথায় রেখে বর্তমান ভরত সরকারের হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।এখানে হিন্দু রাষ্ট্র মানে সকল ভারতীয়দের রাষ্ট্র র কথা বলা হয়েছে ।তাই এই নজির ও ধারনা একমাত্র ভারতেই সম্ভব ।তাই ভারত শ্রেষ্টত্বের বিচারে ভারত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ।
@সব্যসাচী শ্যামলী মূখার্জী
@Sabyasachi_shyamoli_Mukherjee

No comments: